টানা তৃতীয় দিনের মতো বৃষ্টিতে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বুধবার (২২ জুলাই) সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টির কারণে আগের দুই দিনের মতো আজও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। অলিগলি পেরিয়ে তলিয়ে যায় প্রধান সড়কও। অনেক স্থানে হাঁটু সমান পানি ডিঙিয়ে নগরবাসীকে যেতে হয় গন্তব্যে। পানি জমে যায় ঘরবাড়ি, অফিস-আদালত, দোকানপাটে।
বিপত্তির যেন শেষ নেই। কি রিকশা, অথবা গাড়ি। এই যুদ্ধ করেই পৌঁছাতে হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে। বা ছুটতে হচ্ছে জরুরি প্রয়োজনে। যানবাহনে পানি ঢুকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে রাস্তার মাঝে। ভাঙা গর্ত থেকে উঠাতে বৃষ্টিতে ভিজে তাই এভাবে চলা। অবর্ণনীয় এই দুর্ভোগ এখন প্রতিদিনের।ফলে নৌকায় চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ। বুধবার (২২ জুলাই) সকালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার লালপুর এলাকায় এমন দৃশ্য দেখা গেছে।
দেখা গেছে, টানা তিনদিন কয়েক ঘণ্টার মুষলধারে বৃষ্টির কারণে নারায়ণগঞ্জের শহরসহ ফতুল্লার বিভিন্ন এলাকার প্রধান প্রধান সড়ক পানির নিচে তলিয়ে গেছে। শহরের আশপাশের এলাকাসহ অলিগলিতে হাঁটু সমান পানি জমে রয়েছে। অনেক এলাকায় কোমর পানি জমে রয়েছে। পানি ভেঙে কর্মস্থলে যেতে বাধ্য হচ্ছে মানুষ। ফতুল্লার লালপুরের রাস্তা খেয়াঘাটে পরিণত হয়েছে। মানুষ ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় এসে ৫-১০ টাকা দিয়ে নৌকায় পাড় হচ্ছে। নৌকায় ৫-৬ জন করে চলাচল করছে। নৌকার জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
এদিকে কয়েকদিন আগে ফতুল্লার লালপুরের রাস্তায় জমে থাকা পানি এবং ডাইংয়ের ময়লা পানির কারণে মানুষের দুর্ভোগের অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিক। তিনি তখন রাস্তায় জমে থাকা পানিতে নেমে মানুষের দুর্ভোগ কতটুকু তা নিজে উপভোগ করেন। পরে স্থানীয় একটি ডাইং মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন এবং রাস্তায় জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের আশ্বাস দেন।