এক সময়ে ঘরে ঘরে রেওয়াজ ছিল সদ্যোজাত শিশুদের স্নানের আগে সর্ষের তেল মাখিয়ে রোদ্দুরে শুইয়ে রাখার। বিশেষ করে শীতকালে সর্ষের তেল দিয়ে শরীরে মালিশ করলে ত্বক আর হাড়, দুই ভাল থাকে। দেখে নেওয়া যাক সর্ষের তেলের মালিশের ক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগিতা!
খাঁটি সর্ষের তেলের কদর প্রত্যেক বাঙালিই জানেন। কারণ খাঁটি সর্ষের তেল ছাড়া বাঙালি রান্না জমে না। রান্না ছাড়াও আমের আচার আরও সুস্বাদু করে তুলতেও সর্ষের তেলের দরকার হয়। এক সময়ে ঘরে ঘরে রেওয়াজ ছিল সদ্যোজাত শিশুদের স্নানের আগে সর্ষের তেল মাখিয়ে রোদ্দুরে শুইয়ে রাখার।
বিশ্বাস করা হত যে এতে ত্বক পেলব হয় আর হাড় শক্ত হয়। কথাটা একেবারেই ফেলনা নয়। সর্ষের তেল দিয়ে মালিশ করার অনেক সুফল আছে। বিশেষ করে শীতকালে সর্ষের তেল দিয়ে শরীরে মালিশ করলে ত্বক আর হাড়, দুই ভাল থাকে। দেখে নেওয়া যাক সর্ষের তেলের মালিশের ক্ষেত্রে ব্যবহারের উপযোগিতা!
আগেই বলা হয়েছে যে শীতকালে এই তেল আরও বেশি কাজে দেয়। কারণ এই তেল দিয়ে মালিশ করলে শরীরে রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীর উষ্ণ হয়ে যায়। রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি পায় বলেই পেশি ও হাড়ে যদি কোনও ব্যথা থাকে, সেটা দূর হয়ে যায়।
শীতকালে অনেক সময় বুকে কফ জমে যায়, তখন নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। সর্দি-কাশি শীতকালের একটি সাধারণ সমস্যা। সর্ষের তেল হল এর মোক্ষম দাওয়াই। ঝাঁঝ আর গন্ধের জন্য এই তেল বুকে-পিঠে মালিশ করলে সর্দি কমে যায় এবং কফ বেরিয়ে যায়। আরও ভাল হয় যদি এই তেল একটু গরম করে তাতে এক কোয়া রসুন দিয়ে ব্যবহার করা যায়।
মনিতে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির হাত থেকে বাঁচতে আমরা নানা রকমের সানস্ক্রিন ব্যবহার করি। শীতকালেও সানস্ক্রিনের প্রয়োজন আছে। আর এই কাজ করে সর্ষের তেল। এটি একটি প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন, যাতে আছে ভিটামিন E-র গুনাগুন। যা ত্বকের উপর আচ্ছাদন সৃষ্টি করে ত্বকের সুরক্ষা বজায় রাখে।
সর্ষের তেল অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। তাই এই তেল দিয়ে মালিশ করলে স্বেদগ্রন্থির মাধ্যমে শরীরের টক্সিন বা বিষ বেরিয়ে আসে। তার সঙ্গে এতে আছে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। তাই এই তেলের মালিশে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক কম থাকে।
Leave a Reply