করোনার শুরুতে নাটোরের ফ্রিল্যান্সারদের আয় কিছুটা বাধাগ্রস্ত হলেও গত দুই মাসে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তারা। বাড়িতে বসেই ল্যাপটপ-কম্পিউটার দিয়ে রোজগার করছেন পাঁচ শতাধিক নতুন ফ্রিল্যান্সার। এছাড়া জেলার শতাধিক অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের অনেকেই প্রতিসপ্তাহে আয় করছেন ৫০০ থেকে ৭০০ ডলার। ফ্রিল্যান্সিংয়ে আয়ের নিশ্চয়তা থাকায় শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা ঝুঁকছেন এই পেশায়।
করোনায় এপ্রিল ও মে মাসে ফ্রিল্যান্সারদের আয় কিছুটা কমে গেলেও জুন মাস থেকে চিত্রটা উল্টে গেছে। গত দুমাস ধরে বেড়েছে কাজের পরিধি। ফলে বাড়িতে বসেই নিজের ল্যাপটপ-কম্পিউটার নিয়ে দেশি-বিদেশি কাজ করছেন জেলার নতুন ৫ শতাধিক নতুন ফ্রিল্যান্সাররা। একজন নতুন ফ্রিল্যান্সার প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করছেন।
নতুন ফ্রিল্যান্সাররা জানান, গত তিনমাসে আমি ১০ হাজার টাকা আয় করেছি। করোনার সময়ে আমাদের খুবই খারাপ পরিস্থিতিতে যেতে হয়েছিলো; এখন কিছুটা কমেছে।
তবে অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। গত ২ মাস ধরে জেলার শতাধিক অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের বেড়েছে কর্মব্যস্ততা। কাজের পরিধি বাড়ায় অনেক অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের প্রতি সপ্তাহে আয় হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ ডলার।
জেলায় বেসরকারি ১০টি ছোট আইটি কোম্পানি ফ্রিল্যান্সিংয়ের পাশাপাশি প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এছাড়া সরকারি শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং এন্ড ইনকিউবেশন সেন্টার ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিভিন্ন ট্রেডে প্রতি বছর ৬০০ জনকে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে।