উজানের ঢল ও ভারি বর্ষণে দেশের সব নদনদীতে আবার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ১০ জেলায় দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এসব জেলার নদনদীতে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লাখো মানুষ। ঘরবাড়ি ছেড়ে গবাদি পশু নিয়ে বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রসহ নিরাপদ স্থানে ঠাঁই নিয়েছে। বানের পানিতে ভেসে গেছে রাস্তাঘাট ও মাছের হাজার হাজার খামার। অনেক জেলায় বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগ। ডুবে গেছে ফসলের বিস্তীর্ণ ক্ষেত ও বীজতলা। খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকটে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে দুর্গত এলাকার মানুষ।
দক্ষিণাঞ্চলের জেলা সাতক্ষীরায় গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও নদী ভাঙ্গনে শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার প্রায় ৫০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী লক্ষাধিক মানুষ। খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে এসব গ্রামে।
পার্শ্ববর্তী জেলা বাগেরহাটে পাঁচদিনের অতি বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। এতে করে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে কয়েক হাজার পরিবার। জোয়ারের পানিতে বাজার, ঘাট ও রাস্তা তলিয়ে গেছে। ঘরবাড়িতে পানি উঠে অনেকের রান্নাও বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিনই জোয়ারের পানিতে দুবার ডুবছে জেলা শহরের নিম্নাঞ্চল ও মোরেলগঞ্জ পৌরসভা এলাকা।
এদিকে পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শরীয়তপুরে আবারও শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন। নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষের দিনরাত কাটছে আতঙ্কে। জাজিরা, নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ উপজেলার বেশকিছু স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।এছাড়া যমুনা, ব্রহ্মপুত্র, ঝিনাইসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে জামালপুরের সাত উপজেলার ১০ লাখ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। পানির তীব্র স্রোতে ১৩ হাজার ৭৩৮টি বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
Leave a Reply