সানস্ক্রিনে যে ধরনের উপাদান ব্যবহার করা হয় তার কিছু অংশ রক্তে মিশে যায়। এটি মারাত্মক ক্ষতিকারক হতে পারে বলে একটি গবেষণায় উঠে এসেছে।
মার্কিন সরকার এখন সে ঝুঁকির মাত্রা খতিয়ে দেখছে। উষ্ণ আবহাওয়া আর করোনায় দীর্ঘ লকডাউনে থাকার পর মার্কিন নাগরিকরা সূর্যস্নানে অবকাশ যাপনের জন্য হোটেল বুকিং করতে শুরু করেছেন। এসময় সানস্ক্রিনের ব্যবহারও তাই বাড়বে। কেননা ক্ষতিকর আলট্রাভায়োলেট (অতিবেগুনি রশ্মি) শরীরের জন্য ক্ষতিকর, রোদে পোড়াসহ ত্বক কালো করে ফেলে।
সানস্ক্রিন রোদে পোড়া থেকে রক্ষা করে, কিন্তু তার মানে কি এই যে এটা সার্বিকভাবে তা উপকারি?
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এফডিএ’র দুইটি গবেষণা হয়েছে বিষয়টির ওপর। প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব গাইডলাইন বলছে, সানস্ক্রিন থেকে রক্তে মিশে যাওয়া রাসায়নিকের মাত্রা প্রতি লিটারে দশমিক পাঁচ ন্যানোগ্রামের বেশি নিরাপদ নয়। যদি এর চেয়ে বেশি শোষিত হয় তবে নিশ্চিত করতে হবে যে সানস্ক্রিনের কোনো উপাদান ক্যান্সারজনিত ক্ষতি করবে না।
কিন্তু গবেষণায় দেখে গেছে, সানস্ক্রিনে ব্যবহৃত ছয়টি উপাদানই নিরাপদ মাত্রার চেয়ে বেশি থাকে। এমনকি এসব উপাদান সানস্ক্রিন ব্যবহারের কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত রক্তে মিশে থাকতে পারে।
এখন পর্যন্ত এর নির্দিষ্ট ক্ষতিকর প্রভাব জানা যায়নি, তবে এফডিএ গবেষণা শুরু করেছে যে এসব উপাদান ক্যান্সারের ঝুঁকি, জন্মত্রুটি বা অন্যান্য ক্ষতি কতটা বাড়ায়।
Leave a Reply