কোরবানি ঈদের আর মাত্র ৩ দিন বাকি। প্রতিবছর এসময় হাটে ক্রেতাদের সমাগম ঘটে তবে এবার চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুহূর্তে চাঁপাইনবাবগঞ্জের হাটগুলোতে গরু বেচাকেনা শুরু হলেও করোনার কারণে স্থানীয় ও বাইরে থেকে ব্যাপারীরা না আসায় গরু বিক্রি নিয়ে হতাশায় বিক্রেতারা। এছাড়া হাটগুলোতে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্বসহ স্বাস্থ্যবিধি। স্বাস্থ্যবিভাগ বলছে, হাটগুলোতে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে না পারলে করোনা সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজধানীর অন্যান্য হাটের তুলনায় একটু ভিন্ন পূর্বাচলের কোরবানির পশুর হাট। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বড় বড় পশুগুলো চোখে পড়ছে এ হাটে। এরমধ্যে ঝিনাইদহ থেকে আনিস নিয়ে এসেছেন টাইগার। সাড়ে ৩ বছর ধরে সন্তানের মতো করে লালনপালন করেছেন টাইগারকে। ফ্রিজিয়ান জাতের এ গরুটির দাম হাঁকছেন ১৮ লাখ টাকা।
টাইগারের মালিক আনিস জানান, যে দাম বলতেছেন এতে খাওয়ার দামই বলে না। সাড়ে তিনটা বছর নিজের ছেলের মতো বড় করেছি। কিন্তু আমি সে মূল্য পাচ্ছি না।আনিসের মতো আরও অনেকেই নিয়ে এসেছেন এমন অনেক কোরবানির পশু। তবে ক্রেতা সংকটে দুশ্চিন্তা রয়েছে বিক্রি নিয়ে।
আরেক গরু ব্যবসায়ী বলেন, হাটে গরু নিয়ে এসেছি; কিন্তু ক্রেতারা যে দাম বলতেছে তা গরু বিক্রি করার মতো না। আফতাব নগরের গরু নিয়ে আসা একজন বলেন, এখানে অনেক সমস্যা। পানি ও বাথরুমের অবস্থা খুবই বাজে। অনেক সময়ে লাইনে পানি পাওয়া যায় না।
জায়গার অভাব না থাকলেও করোনার কারণে এবার পশুর সংখ্যা অনেকটাই কম রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে।