জামিনের মেয়াদ চার মাসেরও বেশি অতিবাহিত হয়েছে। এখনও শুরু হয়নি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মূল চিকিৎসা। বিএনপি নেতারা বলছেন, করোনার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসা করানো সম্ভব হচ্ছে না।
জানা গেছে, শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ থাকায় চিকিৎসার জন্য পারিবারিক আবেদনের পর শর্ত সাপেক্ষে ৬ মাসের জামিন পান খালেদা জিয়া। কিন্তু চার মাসেরও বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এখনও তার সেই ধরনের চিকিৎসা শুরু হয়নি।বিএনপি বলছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে তিনি চিকিৎসা নিতে পারেননি। দুদক আইনজীবী বলছেন, মেয়াদ বাড়ানো হলে ভুল করবে সরকার।
এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দরকার চিকিৎসা। তবে করোনার কারণে এটা শুরু করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া উনার মামলাটি জামিন যোগ্য।
চিকিৎসার জন্য মানবিক কারণে বেগম জিয়াকে মুক্তি দেয়া হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে বাসায় কোয়ারেন্টাইনে থাকায় চার মাসেও চিকিৎসা হয়নি বলে দাবি করেছে দলটি।
তবে দুদক আইনজীবী বলছেন, মুক্তির প্রক্রিয়াটি আইন সম্মত ছিল না। আবারও মেয়াদ বাড়ানো সঠিক হবে না।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, খালেদা জিয়ার ব্যাপারে সরকার যে সহানুভূতি দেখিয়েছে তাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। তার মানে এই নয় আপনি আইন ভঙ্গ করবেন।
পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মানবিক দিক বিবেচনায় সরকারের নির্বাহী আদেশে গত ২৫ মার্চ দুই শর্তে মুক্তি পান বেগম জিয়া।